ইন্টার্নেট সার্ভে কোম্পানী যেটি মূলতঃ মাল্টি লেভেল মার্কেটিং ব্যবস্থায় মার্কেট জরিপ করার নামে গত ২০১০ এর শেষের দিকে ভারতের প্যানেলিস্টের হাত ধরে বাংলাদেশে প্রবেশ করে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে গত ফেব্রুয়ারী ২০১১ ইং উদাও হয়ে যায়। সেই স্পিকএশিয়া আবার বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও তারা এখনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি যে কিভাবে তারা ব্যবসা পরিচালিত করবে। এরই মধ্যে বনানী, ঢাকায় তাদের নিবন্ধিত প্রধান অফিস চালু করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক অবসর প্রাপ্ত কর্নেলকে বাংলাদেশ স্পিক এশিয়া দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে ইবিজটপারস।
স্পিক এশিয়া, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক জরিপ কোম্পানীর সিইও জনাব মনোজ কুমার জানান যে,স্পিক এশিয়ার বাংলাদেশ অপারেশন যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা হতে পারে। নতুন ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে চালু হবে তবে পুরোনো সদস্য (প্যানেলিস্ট)দের ব্যাপারে কি করা হতে পারে সেটির সিদ্ধান্ত নেয়া না হওয়ায় এখনো চালু করা যাচ্ছে না।
স্পিক এশিয়ার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২০ লাখের অধিক, তবে অধিকাংশ ভারতের সদস্য। বাংলাদেশের সদস্য সংখ্যা গত ফেব্রুয়ারী ২০১০ এ ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা যায়।
স্পিক এশিয়া বাংলাদেশের বর্তমান সদস্যদের নিয়ে কি করা যায় তা নিয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। সদ্য আগত কিছু অতিউৎসাহি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং নেতা স্পিক এশিয়াকে বাংলাদেশের নতুন ভাবে চালু করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। যদিও পুরাতন সদস্যরা এতে রাজি নয়।
স্পিক এশিয়া বাংলাদেশে নতুনভাবে চালু করার জন্য সিটি ব্যাংকে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলেছে। স্পিক এশিয়া বাংলাদেশ এর নতুন নীতিমালা চালু করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। তন্মধ্যে
১। শুধু মাত্র বাইনারী আয় ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ করা যাবে।
২। সার্ভে বা জরিপ আয় এর মাধ্যমে পণ্য খরিদ করতে হবে।
৩। অনলাইন পণ্য খরিদ করা যাবে।
৪। নতুন সদস্যদের রেজিস্ট্রেশন ১ বছর বহাল থাকবে।
৫। স্পিক এশিয়া বাংলাদেশ সরাসরি সিঙ্গাপুর থেকে পরিচালিত হবে। যদিও বাংলাদেশ এ একটি প্রধান অফিস থাকবে।
৬। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে বিভাগীয় অফিস চালু করা হবে।
৭। ব্যাংকিং কার্যক্রম যেকোন ব্যাংকের মাধ্যমে করা যেতে পারে।
বিস্তারিত .......
src="http://pagead2.googlesyndication.com/pagead/show_ads.js" type="text/javascript">