Monday, April 30, 2012

কোন সবজি শরীরে কী কাজে লাগে?

বাজারে এখন অনেক সবজি। সবজি খাওয়া ভালো, এ কথা সবারই জানা। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সবজির গুণ বিচার না করেই ভিটামিন ও খনিজ লবণের আশায় আমরা সবজি খাই। অথচ শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সবজির খারাপ ও ভালো দুটো প্রভাবই রয়েছে। তাই কোন সবজি কী কাজে লাগে তা জানা থাকলে ভালো।


যেমন প্রতিদিন তেতো করলা খাবারে রুচি বাড়ায় ও মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়। খেতে বসে প্রথম ডিশ হিসেবে যদি তেতো খাওয়া হয়, তাহলে সেটা মুখে লালা ক্ষরণ করে শ্বেতসারকে ভাঙতে সাহায্য করে। এতে হজমের সুবিধা হয় ও লিভারও ভালো থাকে। আলু ও টমেটোতে প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড আছে বলে হাতের তালু এবং পায়ের তালু জ্বালা করার উপসর্গ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা কোলেস্টেরল কমায়। গাঢ় সবুজ ও হলুদ শাক-সবজি রাতকানা রোগ, হাড় ও দাঁত গঠনে এবং স্নায়বিক অসুস্থতায় বেশ উপকারী। ফুলকপিতে আছে অনেক ক্যালসিয়াম। শিম, মটরশুঁটি, বরবটি, পালংশাক, ফুলকপি ইত্যাদিতে পিউরিন বেশি থাকে বলে গেঁটেবাত থাকলে অবশ্যই বর্জন করা উচিত। আবার ওল, বেগুন খেলেও আমবাতের প্রকোপ বাড়ে। অথচ রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য কচুর শাক, লালশাক, পালংশাক, বিট, লেটুসপাতা খুবই উপকারী। অজীর্ণ ও ডায়রিয়া হলে সবজি বর্জন করা উচিত। বিশেষ করে আঁশযুক্ত সবজি। কারণ সেলুলোজ দুষ্প্রাচ্য বলে হজমের ব্যাঘাত ঘটায়। অন্যদিকে কোষ্ঠকাঠিন্যে শাকসবজিই প্রধান ওষুধ।
পরিপাকে অসুবিধা থাকলে বাঁধাকপি, মুলা, শিম, শাক, মটরশুঁটি এড়িয়ে চলতে হতে পারেন। আলসারের রোগীদের খাবারে কাঁচা সবজি, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, ডাঁটা, কাঁচামরিচ, কাঁচা শসা, বরবটি বাদ দিলে ভালো হয়। কিডনিতে পাথর হলে অক্সালিক অ্যাসিডযুক্ত সবজি যেমন পালংশাক, পুঁইশাক, টমেটো, বিট, শজনেপাতা, কচু, কচুর শাক, কলার মোচা, মিষ্টি আলু বাদ দিতে হবে।
প্রসবের পর মায়েদের গাজর, বিট, টমেটো, লেটুসপাতা, বাঁধাকপি, মুলা খাওয়া উচিত। এতে মুখে যে কালো ছোপ পড়ে তা দূর হয়ে যায়। কাঁচা পেঁপে পরিপাক শক্তির সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্যে বিশেষ উপকারী। সুতরাং সবজি শুধু স্বাদ ও পুষ্টির জন্য নয়। এর বিষয়ে ভালোভাবে জেনে শরীরের প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তবেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এর স্থান দিতে হবে। আর শরীর সুস্থ থাকলে চোখ বুজে খেতে পারেন সব সবজি।

form

Powered byEMF Online Form Builder

news add

e