বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞাপনের চাহিদা সম্পর্কে তো আপনি আশা করি ভালই জানেন। পত্রিকা, ম্যাগাজিন, টিভি রেডিও থেকে শুরু করে মিডিয়া এখন বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন নতুন নতুন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তাদের পন্য উৎপাদন করছে। এই নতুন নতুন পন্য সমুহকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞাপনের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে কারন পন্যের প্রচারে মিডিয়ার বিকল্প নেই ।
শুধু পণ্যই নয় অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের সেবার ব্যাবসা প্রসারনে বিজ্ঞাপনের উপরে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ফলে বিজ্ঞাপন পন্য এবং ক্রেতার মাঝে একটি বৃহৎ ব্যাবসার সৃষ্টি করে থাকে।
এবার আসুন মুল প্রসঙ্গে আশা যাক। গুগল তার সার্চ সেবার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ধীরে ধীরে তারা আয়ের উৎস খুঁজতে লাগলো কীভাবে গুগল সার্চ ইঞ্জিন পরিচালনা ব্যয় উত্তোলন করা যায়। অবশেষে তারা বিজ্ঞাপনের বাজার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহন করে। কিন্তু প্রক্রিয়াটি কীভাবে সহজ এবং সুন্দর করা যায় তা নিয়ে অসংখ্য গবেষণা চলে। অতঃপর গুগল এডসেন্স এবং এডওয়ার্ডস নামক অনলাইন ভিত্তিক বিজ্ঞাপন সংস্থা তৈরি করা হয় যার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতা এবং প্রকাশক একটি প্লাটফর্মে অবস্থান অবস্থান করবে ফলে সহজেই বিজ্ঞাপনদাতা পন্যের প্রচার করতে পারবে এবং প্রকাশক তা প্রকাশ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
বর্তমানে সারা বিশ্বের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করার জন্য গুগল এডওয়ার্ডস এর এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন। তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যাবসার প্রসার ঘটান এবং এই বিজ্ঞপন গুলোকে মানুষের খুব কাছে পাঠানোর জন্য গুগল তার এডসেন্স প্রকাশকদের সাইটের নির্দিষ্ট অংশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে থাকেন। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিজ্ঞপন গুলো সাধারন মানুষের খুব কাছে পৌঁছে যায়। সাধারন মানুষের কাছে এই বিজ্ঞাপন উপস্থাপন করার জন্য এডসেন্সে বিজ্ঞাপন দাতাদের অর্থ প্রকাশকদের একাউন্টে জমা দেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন গুগল এডসেন্স একটি তৃতীয় পক্ষ । স্বভাবতই আপনার মনে প্রস্ন জাগতে পারে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে গুগোলের লাভ কি?
তৃতীয় পক্ষ হিসেবে তার এই ভূমিকা পালনের জন্য গুগল ৩২ শতাংশ কমিশন কেটে নেয়। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনদাতা যদি আপনার সাইটে বিজ্ঞাপনের জন্য ১০ ডলার খরচ করে তবে আপনি প্রকাশক হিসেবে প্রায় ৭ ডলার পাবেন। গুগোলের বর্তমান আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল এই এডসেন্স।